শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনতার লড়াই

মুক্তিযুদ্ধ ছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনতার লড়াই

জুয়েল রুহানী:

মুক্তিরও মন্দিরও সোপানও তলে

কত প্রাণ হলো বলিদান

লেখা আছে অশ্রু জলে…..।

 

মুক্তিকামী বাঙ্গালী জাতি এ দেশের আকাশে বাতাসে বিজয়ের বাণী ছড়িয়ে দিতে মেতেছিল রণক্ষেত্রে রক্তের খেলা খেলতে। স্বার্থ ভূলে নিঃস্বার্থভাবে বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতা বিসর্জন দিয়ে রণক্ষেত্রে ছুটে গিয়েছিল একটি সোনার বাংলাদেশ দেখতে। বাংলাদের বুকে যখন চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, মানবিক সমস্ত দিকে যখন শাসকগোষ্ঠি বাঙ্গালি জাতিকে নিষ্পেষিত করতে চেয়েছিল ঠিক তখনি এ দেশের সর্বস্তরের জনতা প্রতিবাদের ঝড় তুলে, আন্দোলনের ভিত্তি গড়ে “বাঙ্গালী জাতি” পরিচয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে।

 

বাংলাদেশ যতদিন রবে ইতিহাসের সোনালী পাতায় চির স্বরণীয় বরনীয় হয়ে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনতার লড়াই। বাঙ্গালী জাতির উপর যখন পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় তখন সর্বস্তরের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালী জাতির পরিচয় বহন করে প্রতিবাদের ঢাল ধরে রক্ত বন্যা বইয়ে দেয়। কামার-কুমার, জেলে, তাতী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, ডাক্তার, প্রকৌশলী মাথার ঘাম পায়ে ফেলা খেটে খাওয়া শ্রমিক জনতা সকলেই লড়েছিল বাঁচতে ও বাঁচাতে। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় প্রভৃতি দিক দিয়ে যখন একটি জাতিকে পঙ্গুত্ব করে রাখা হয়, তখন একটি জাতির বাঁচার কিই বা থাকে? এমন কি মায়ের মুখের ভাষাটুকু রুদ্ধ করার জন্যও শাসকগোষ্ঠী ছিল বদ্ধ পরিকর! সবকিছু হারিয়ে বাঙ্গালী জাতি যখন নিঃস্ব তখন মার্তৃভূমি ও মার্তৃভাষা কে বাঁচানোর জন্যই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশের সর্বস্তরের জনতা।

 

এ দেসের সর্বস্তরের জনতা বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতা, ভাই-বোনের ভালোবাসা, স্ত্রী-সন্তানের মায়া বিসর্জন দিয়ে মার্তৃভূমির জন্য অকপটে স্বীকার করেছেন মৃত্যুযন্ত্রনা! বাঙ্গালী জাতিকে বাঁচানোর জন্য। আর তাইতো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সন্তানহারা বাবা-মায়ের আর্তনাদ, সম্ভ্রমহারা মা-বোনের চোঁখে নীরবতার ছাঁপ হার মানিয়েছে সবকিছুকে।

 

সর্বপরি এ দেশের সর্বস্তরের জনতা নিঃস্বার্থভাবে বাংলা মায়ের সবুজ আঁচলে বুকের তাজা টক্ টকে রক্ত ঢেলে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছে বিজয় নিশান। যা বাঙ্গালী জাতির গর্বের প্রতীক রুপে চির ভাস্বর হয়ে আছে বিশ্ব মানচিত্রে।

 

জুয়েল রুহানী, কবি ও লেখক, লালমনিরহাট।

 

(সাপ্তাহিক আলোর মনির সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, সাপ্তাহিক আলোর মনি কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার সাপ্তাহিক আলোর মনি নেবে না।)

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone